Ø  প্রেজেন্টেশন:

প্রেজেন্টেশন বলতে আমরা বুঝি সাজসজ্জাকিভাবে অন্যের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করাএটি হতে পারে নিজের কথা বলার স্টাইল, বাচন- ভঙ্গি, দাঁড়ানোর স্টাইল, বসার স্টাইল অর্থাৎ সব কিছুই বলা চলে

একজন মানুষ কিভাবে তার কথার দ্বারা বা আউটলুক দ্বারা অন্য সবার চেয়ে কাছে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা বা নিজের যে কোনো বিষয় উপস্থাপন করা অর্থাৎ প্রেজেন্ট করা সেটিই হলো প্রেজেন্টেশন

একজন মানুষকে ফিউচারে কিভাবে দেখা হবে অথবা তার মোটিভ, তার চাহিদা অর্থাৎ সে কি চায়, কি বুঝাতে চায়? তার সবটাই এই প্রেজেনটেশনে ফুটে উঠবে

Ø  প্রেজেন্টেশন এর ভয়-ভীতি:

ইংরেজিতে একটি কথা আছে –“ Love at first sight” অর্থাৎ প্রথম দর্শনেই প্রেম

এখানেও ঠিক তেমনিতোমার যাই থাকুক না কেন, তুমি যতই জানো না কেন? অথবা তোমার যতই পোটেনশিয়ালিটি থাকুক না কেন, তুমি যদি সঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে না পারো যে তুমি কি বুঝাতে চাও; তবে এটি তোমার কোনো কাজেই লাগবে না

এইজন্যই তোমাকে প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে জানতে হবেকিভাবে কি করলে তুমি হয়ে উঠবে অনবদ্যসেটি শেখার জন্য তোমার জন্য TalentHut এর বিকল্প আর কিছুই হতে পারেনা। তুমি তোমার প্রেজেন্টেশন উন্নত করতে ফলো করতে পার TalentHut এর youtube channel (https://www.youtube.com/channel/UCUJoZv69292XxuFVBL4TkZA) বা Facebook page (https://www.facebook.com/TalentHut.Ins)

তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছ যারা অনেক কিছু জানোএরপরও কারো সামনে গেলে কিছুই বলতে পার না,ভয় লাগে! আবার অনেকেই আছ কিছুই জানো না; কিভাবে কি শুরু করতে হয়, কিভাবে কথা বলতে হয়?  আমি কি ঠিক বলেছি? হ্যাঁ, আমি জানি আমি সঠিক বলেছিআসলে এসব না জানাটা তেমন কোনো বড় ব্যাপারই না আমরা কেউই প্রথম দিন থেকে শিখে আসি নি

Ø  কিভাবে Good Presenter হওয়া যায়?

ইন্টারভিউ দিতে গেলে তোমার ঘাম ঝরছে, হাঁটু কাঁপছে বা মুখ দিয়ে কোনো কথাই আসছে না—তাহলে এখন তোমাকে জানাবো কিভাবে একজন গুড প্রেজেন্টার হওয়া যায়

আচ্ছা ধরো, তুমি তোমার ইউনিভার্সিটিতে বা ধরো কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছোসেই ক্ষেত্রে তোমাকে জানতে হবে কিভাবে তুমি তোমার ১০০% সেই ২-৫ মিনিটে সম্পুর্ণ তুলে ধরবে

তোমার ভাবতে হবে, এই ৫ মিনিটই আছে আমার কাছেএটি হারিয়ে ফেললে আমি আমার ডিজায়ার গোলে যেতে পারবো না

এই ক্ষেত্রে আমি তোমাকে বলব –‘Select  a topic ‘. ধরো তুমি কোনো একটা প্রতিষ্ঠানে জবের জন্য যাচ্ছতাহলে তুমি নিশ্চয়ই জানো কোন পজিশনে এ তোমাকে নিচ্ছে? এই জন্য তোমাকে প্রথমেই জানতে হবে ; ঐ সিলেক্টেড পোস্টের কাজ কি?  তারপর তোমাকে কোম্পানির বিজনেস সম্পর্কেঐ কোম্পানি কি ধরনের প্রোডাক্ট সেল অথবা সেবা দিয়ে থাকে

এরজন্য সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো গুগল

গুগল করলে ঐ কোম্পানি কোন ধরনের জিনিস নিয়ে কাজ করছে সেই ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারনা হয়ে যাবে। যদি তোমার কোম্পানির প্রোডাক্ট সেলিং সম্পর্কে ধারনা থাকে তুমি খুব সহজ ভাবেই যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এতে তোমার গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।

এরপর তোমাকে জানতে হবে যে পোস্টে তোমাকে ডেকেছে সেই পোস্টের কাজ এর বিবরণ। তাহলেই ইন্টারভিউয়ার তোমার প্রতি খুবই আপ্লুত হবে। আর অবশ্যই অবশ্যই নিজের আর নিজের কাজ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা দিবে তাদের। তুমি কি পারো, কি পারো না, বা সবকিছু আগেই খোলামেলা আলোচনা করে নিবে।

এখন ধরো, তুমি কিছু সেল করবে! তোমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে তোমার ভালো ধারনা থাকবে।

তুমি যা সেল করবে তা সম্পর্কে যদি তুমি ভালো ধারনা তোমার বায়ারদের না দিতে পারো সে তোমার প্রোডাক্ট কেন কিনবে?সুতরাং, তোমাকে এট্রাক্টিভ ইনফরমেশন দিয়ে বায়ারদের মন জয় করতে হবে। তো এভাবেই একজন গুড প্রেজেন্টার হওয়া যায়।

একজন গুড প্রেজেনটার হওয়া একদিনের ব্যাপার না। You need to practice more and more so that you can be a good presenter one day. 

প্রেজেন্টেশনে ভালো করার কিছু টিপস: 

  • তুমি যে বিষয়টা নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিবে তা নিয়ে বারবার আয়নার সামনে বা তোমার কোনো বন্ধু বা তোমার ছোট ভাই- বোনকে সামনে বসিয়ে তাদের সামনে প্রেজেন্টেশন দিবে। 
  • আয়নার সামনে দাড়িয়ে বারবার প্র‍্যাক্টিস করবে।
  • মনে মনে বিষয়টি বারংবার প্র‍্যাক্টিস করবে।
  • তোমার বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের সামনে বসিয়ে তাদের সামনে প্রাক্টিস করবে। এবং কোনো ভুল হলে তাদের ধরিয়ে দিতে বলবে।এবং তাদের প্রশ্ন করতে বলবে। এতে করে তোমার যারা প্রশ্নকর্তা থাকবে তারা কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে সে সম্পর্কে তোমার কিছুটা হলেও ধারনা হয়ে যাবে। এতে করে তোমার ভিতরে থাকা ভয়, লজ্জা, জড়তাগুলো ধীরে ধীরে চলে যাবে।
  • প্রেজেন্টেশন দেয়ার সময় যদি তোমার উপস্থিত বুদ্ধি থাকে তবে তুমি হয়ে উঠবে একজন ভালো বক্তা। কেননা, অনেক সময় প্রশ্নকর্তা আমাদের কি ধরনের প্রশ্ন করবে তা আমরা ধারনাই করতে পারি না। অথবা এমন কিছু প্রশ্ন করে ফেলে যার উত্তর জানা থাকে না আমাদের। তখন আমাদের ইন্সট্যান্ট এমন ভাবে উত্তর দিতে হবে যাতে করে প্রশ্নকর্তা আমাদের দূর্বলতা বুঝতে না পারে।
  • ধরো, তোমাকে কিছু প্রশ্ন করলো। তুমি উত্তর দিলে এবং পরে মনে পড়লো এটার উত্তর ভুল দিয়েছ অথবা উত্তর দেয়ার এক পর্যায়ে বুঝলে তুমি ভুল বলে ফেলেছ। তুমি কিন্তু ওখানেই থেমে যাবে না, যেই স্পীডে বলছিলে সেভাবেই বলে যাবে। নার্ভাস হবে না। কনফিডেন্টলি উত্তর দিয়ে যাবে, ভুল সঠিক নিয়ে মাথা ঘামাবে না। কেননা যারা তোমার পরীক্ষা নেয়, তারা তোমার মানসিক দক্ষতা কতখানি আছে তা যাচাই করে।তুমি নিজের কথায় কাজে কতটা কনফিডেন্ট সেটা খেয়াল করে।
  • আবার অনেক সময় আমরা কি উত্তর দিবো খুজে পাইনা। তখন কিছু ফিলার সেন্টেন্স দ্বারা আমরা কি বলতে চাই তা আমাদের সাব কনশাস মাইন্ডে চিন্তা করে নিতে পারি। কিন্তু বেশি বেশি সেন্টেন্স বলা যাবে না। এতে করে প্রশ্নকর্তা বিরক্ত হতে পারেন অথবা ভাবতে পারেন আপনি উত্তরটা হয়ত জানেন না তাই এরকম করছেন।

প্রেজেন্টেশন এর সময় উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনিও হতে পারবেন একজন ভাল প্রেজেন্টার।

 

-By

Miss Tamanna

(Teacher & Batch coordinator at TalentHut)

 

 

#talenthut #talenthutbd, #talenthutielts, #presentation, #public speaking,