Ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে
অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি বারবার আসে Ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে বা প্রয়োজন। এটা নিয়ে আমি আজকে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব।
আইইএলটিএস একটি ভাষার দক্ষতা নির্ধারণ পরীক্ষা, যার মাধ্যমে মূলত আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটুকু দক্ষ তা নির্ধারিত হবে। এই পরীক্ষাটি বাংলাদেশ মূলত ব্রিটিশ কাউন্সিল (British Council) এবং আইডিপি (IDP-Australia) নিয়ে থাকে। তাদের নিজস্ব সেন্টার বাদেও ঢাকা সহ বাংলাদেশের অনেকগুলো বড় বড় শহরে তাদের কিছু অ্যাফিলিয়েটেড সেন্টার আছে যেখানে আইএলটিএস (ielts) এর রেজিস্ট্রেশন এবং পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী মূলত ঢাকাতেই পরীক্ষাগুলো বেশি দেয়। সাধারণত মাসে দুইবার এই পরীক্ষা হয়ে থাকে, যে পরীক্ষাগুলো সিডিউল গুলো প্রতি বছরের শুরুতেই ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং আইডিপি তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ১ বছরের পরীক্ষার তারিখ অগ্রিম প্রকাশ করে থাকে। সেখানে আপনি তারিখ অনুযায়ী চাইলে ielts registration করতে পারবেন।
এখন আইইএলটিএস/ ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে সেই বিষয় নিয়ে কথা বলি।যেহেতু ielts ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নির্ধারণী পরীক্ষা তাই এখানে পরীক্ষা দিতে হলে নূন্যতম পড়াশোনা অবশ্যই জানতে হবে। এখন অনেকেই প্রশ্ন করেন, আমি কি এইচএসসি বা এসএসসি সার্টিফিকেট দিয়ে পরীক্ষা দিতে পারব? উত্তরটি হলো, পরীক্ষা দিতে আসলে আপনার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে না। সেখানে আপনার যোগ্যতা যেটা লাগবে সেটা হল আপনার বয়স কমপক্ষে 16 বা তার উপরে হতে হবে এবং নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য আপনার পাসপোর্ট এর কপি লাগবে। পাসপোর্ট দিয়ে আপনাকে অনলাইনে বা সরাসরি অফিসে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন এর পর আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফী পে করতে হবে।
আর যদি এভাবে জানতে চান যে আইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন বা প্রস্তুতি নিতে গেলে কেমন ইংরেজি জানা থাকা লাগবে তবে সে ক্ষেত্রে উত্তর হল, মোটামুটি যারা এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছে অর্থাৎ স্কুল এবং কলেজ পাশ করেছে তাদের যেটুকু যোগ্যতা আছে সেটা দিয়ে আইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হবে।
অনেকেই আবার প্রশ্ন করেন স্যার আমি অষ্টম শ্রেণী পাস করেছি এরপরে আর পড়াশোনা করতে পারেনি, আমি কি আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে পারব?
উত্তরটি হলো, হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন। কারণ আপনার পড়াশোনার যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেয়ার সময় দেখাতে হয় না। তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন ইংরেজি পড়াশোনা থেকে দূরে থাকেন তবে যেহেতু এখানে আপনাকে ইংরেজিতে রিডিং, রাইটিং এবং লিসেনিং এই পরীক্ষাগুলো দিতে হবে তাই আপনার ন্যূনতম ইংরেজি পড়া এবং লেখা জানতে হবে। যথেষ্ট ইংরেজি শব্দ জানা থাকা লাগবে।তাছাড়া আসলে, আপনার কত স্কোর লাগবে তার উপর ভিত্তি করে আপনার প্রস্তুতি নিতে হবে, ধরুন আপনার স্কোর লাগবে ৪.৫ তাহলে আপনার প্রস্তুতি হবে একরকম আবার ধরলাম আপনার স্কোর দরকার ৮ বা ৯ তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার প্রস্তুতি থাকবে আরেকরকম। সাধারণত আমাদের দেশ থেকে যারা ওয়ার্কার বা ওয়ার্কিং ভিসাতে বিদেশে English speaking country গুলোতে যায় তাদের কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আইইএলটিএস এর স্কোর 4.5 থেকে 6.5 পর্যন্ত লেগে থাকে।আর যারা একাডেমিক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যায়, সেক্ষেত্রে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম থেকে পিএইচডি পর্যন্ত মোটামুটি ৬.৫ থেকে ৮.৫ পর্যন্ত স্কোর তোলার প্রয়োজন হয়।
আশা করি ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে সেটা আপনারা ইতিমধ্যে উত্তর পেয়ে গেছে।
এই বিষয়ে আমাদের একটি ভিডিও আছে, চাইলে দেখে আসতে পারেন।
পরবর্তী ব্লগটি পড়ার জন্য আমাদের ব্লগ পেইজে ক্লিক করুন।
অথবা আপনার প্রশ্ন কমেন্টে করুন, আমরা ব্লগ এর মাধ্যমে উত্তর দিবো।
ধন্যবাদ স্যার আপনাকে
আপনাকেও ধন্যবাদ।
Sir ami Bsc.te degree complete koreci.Then Master’s a botany nia Sylhet M.C.college a admit hoisi.Ami ki Bcs exam a boste parbo na ki Master’s complete krar por Bcs dite hobe plz kindly blbn& abroad teke phd.krte chaile Ki ielts course akn e kre jete parbo study r jonno na Master’s complete kre jete hobe jdio j country te jawa hbe seikane gia abr Master’s na ki admit hote hoy plz plz sir cleary bisoy ta bujibe bolbn.
BCS অবশ্যই graduation শেস করে করতে হবে। আর IELTS লাগবে যখন বিদেশের জন্য এপ্লাই করবেন তার আগে। তাই, অনার্স শেস বর্ষ থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
আমি ডিগ্রী ফাইনাল দিয়ে বিদেশে মাস্টার্স করার জন্য কি আইএলটিএস দিতে পারবো? নাকি বাংলাদেশেই মাস্টার্স কমপ্লিট করে তারপর বিদেশের কোনো ভার্সিটি তে এপ্লাই করতে পারবো?
বিদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় আসলে ৩ বছরের ডিগ্রি গ্রহণ করে না। পুনরায় মাস্টার্স করে যেতে হয়। তবে কিছু কিছু করে, কিন্তু সেক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আবার একটি ডিপ্লোমা করে নিতে হয়। তারপরও আপনি যে দেশে যেতে চান, সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এর ওয়েবসাইট গুলো ঘরে দেখতে পারেন।