প্রথমেই লিখি কারা IELTS করবেন না?

১। আপনার বাবার যথেষ্ট ধনসম্পদ থাকলে বিদেশের চিন্তা মাথায় না আনাই ভালো। যে শ্রম বিদেশে দিবেন, তা দেশেই নিজের সম্পদে দিলে ৩-৪ গুণ সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। অবশ্যই বিদেশে যাবেন, তবে ঘুরতে। ভ্রমণও হল, আবার পাসপোর্টও ভারী হল। পাসপোর্ট ভারী হলে ভবিষ্যতে আপনি চাইলে অনেক দেশেই স্থায়ী হতে পারবেন। তাছাড়া টাকা থাকলে এই দেশ, যে কারো জন্যই স্বর্গ।

২। আপনার যদি এমন কোন দক্ষতা থাকে যা দিয়ে এখনই অনেক টাকা আয় করছেন দেশে বসেই, তাহলে বিদেশের চিন্তা না করাই ভালো। জীবন কোথাও আরামের নয়, শ্রম দিয়েই আরাম করতে হয় তা সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকেন না কেন।

৩। আপনার মাঝে সবসময় শর্টকাট এবং দুই নম্বরি পথে সবকিছু অর্জন এর চেষ্টা থাকলে। এই চরিত্র বিদেশের জীবন নরক করে দিবে। যে দেশ যত উন্নত, তার আইন তত কঠিন।

৪। IELTS এর মত একটি কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যারা ২-৪ মাসেই অধৈর্য হয়ে পড়েন, তাদের বিদেশের চিন্তা না করাই ভালো। কারন বিদেশে আপনাকে প্রতিনিয়ত ঘরে, বাহিরে, ভার্সিটিতে IELTS পরীক্ষার মত সিচুএশন এ পড়তে হবে। বরং ভাষা দক্ষতা না থাকলেই বিড়ম্বনাতে পড়বেন।

৫। বন্ধুদের প্ররোচনাতে IELTS course করতে যাবেন না। নিজের মেধা, যোগ্যতা, পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে বুঝুন। বন্ধুদের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে পরিবারকে এমন চাপ দিবেন না যে, পরিবারের শেস সম্বলটুকু হারাতে হয়। আপনার পড়াশোনা করে, বিদেশে স্থায়ী হয়ে সেই সম্পদ পুনরুদ্ধার করতে অনেক সময়ের বিষয়। সুতরাং, নিজে সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন।

 

কারা দিবেন?

১। পড়াশোনার ধৈর্য যদি থাকে, তবে IELTS প্রস্তুতি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করতে পারেন। অন্য বিষয়ে খারাপ থাকলেও ইংরেজিতে কিন্তু ভালো থাকতে হবে, নতুবা ভালো করার কঠিন প্রত্যয় থাকতে হবে।

২। আপনি যদি স্বনির্ভর এবং ক্রিয়েটিভ মানসিকতার হন, তবে বিদেশে মূল্যায়ন পাবেন। আমাদের দেশে চাকরি পাওয়া এবং পরবর্তীতে চাকরি করার ক্ষেত্রে, লবিং, তদবির, স্বজনপ্রীতি, গ্রুপিং আপনার ক্রিয়েটিভিটির মূল্যায়ন করবে না।

৩। আপনি যদি বিদেশে নাও যান, তবে IELTS প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনার ইংরেজিতে যে দক্ষতা আসবে তা দেশে ভালো কোথাও চাকরীতে আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করবে।

৪। আপনার যদি বিদেশে পড়াশোনা করানোর মত পারিবারিক সচ্ছলতা থাকে, তবেই এই সিদ্ধান্ত আপনি নিবেন। কারন বিদেশে গেলে প্রথম ৩-৬ মাস চাকরি করার অনুমতি পাবেন না, আবার যখন অনুমতি পাবেন, তখন পার্টটাইম চাকরি করে খরচ আসবে না। সুতরাং এগুলো মাথায় রাখতে হবে।

৫। ইংরেজি ভাসায় দক্ষতা না থাকলে বা দুর্বলতা থাকলে IELTS preparation এর ক্ষেত্রে কোনভাবেই অধৈর্য হওয়া যাবে না, সময় নিয়ে ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নেন, তাড়াহুড়ো বা শর্টকাট টেকনিক খুজতে যাইয়েন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বার বার হতাশ হতে হবে। কারো স্কোর ৭/৮ দেখে আবেগি হয়েন না, কেও যদি বলে কোন শিক্ষক এর কাছে ১-২ মাস পড়ে সে IELTS এ ৭/৮ পেয়েছে, তবে ধরে নিন, সে আগে থেকেই দক্ষ ছিল ৮০% বাকি ২০% কোচিং এর সাহায্য নিয়েছে, আর তা না হলে, তারা ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তার এই অর্জন অনেক সময়ের যা ২-৩ মাসের কোর্সে হয় নি।

৬। বিদেশে স্থায়ী হওয়ার চিন্তা থাকলেই, যান। শুধু পড়াশোনার জন্য গেলে, আবার দেশে ফেরত আসলে, সত্যিকার অর্থে আপনার বিদেশে কাজের এবং পড়াশোনার অভিজ্ঞতা এই দেশে খুব একটা কাজে দিবে না।

শেষ আলোচনাঃ

আমি চেষ্টা করেছি, আপনাকে কিছুটা সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিতে, যদি এই আর্টিকেলটি ভাল লাগে বা আপনার পরিচিত কেও IELTS preparation নিতে চায়, তার সাথে শেয়ার করতে পারেন। 

তারপরও যদি IELTS করতেই হয়, তবে আমার youtube channel, (TalentHut IELTS Bangla) তে গেলে আরও ধারনা পাবেন।

Follow করতে পারেন, আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ

https://www.facebook.com/TalentHut.Ins

 

 

-মোঃ সাখাওয়াত হোসেন,

IELTS Trainer & CEO, TalentHut Language Institute

[email protected]

 

#talenthut #shakhawatsir #ielts #talenthutielts